জ্যামিতি কাকে বলে? জ্যামিতির প্রকারভেদ ও জ্যামিতির প্রয়োজনীয়তা
জ্যামিতি কাকে বলে? জ্যামিতির প্রকারভেদ ও জ্যামিতির প্রয়োজনীয়তা
গণিত শাস্ত্রের যে শাখায় বস্তু বা পদার্থের আকার, আয়তন, পরিমাপ ও অঙ্কন এবং জমির পরিমাপ সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা হয় তাকে জ্যামিতি বলে।
জ্যামিতির উৎপত্তি
মিশর দেশে নীলনদের বন্যার জলে, সমস্ত জমির সীমানা মিলিয়ে যেত। বন্যার জল সরে গেলে জমির সীমানা নিয়ে গন্ডগোল আরম্ভ হত। এই সমস্ত গন্ডগোল মিটাবার জন্য জমির মাপের একট নিয়ম মিশর দেশে গড়ে উঠেছিল, আর তা থেকেই ও দেশে তৈরী হল জ্যামিতি।জ্যামিতির শ্রেণিবিভাগ
জ্যামিতি দুধরনের যথা-
(i) ব্যাবহারিক জ্যামিতি (Practical Geometry)
(ii) প্রমাণ বিষয়ক বা তাত্ত্বিক ঔপপত্তিক জ্যামিতি(Theoretical Geometry)
(i) ব্যাবহারিক জ্যমিতি
বিভিন্ন প্রকার বস্তুর আকার বা আকৃতি, আয়তন ইত্যাদির পরিমাপ বিষয়ক অংকন জ্যামিতির যে বিভাগে আলোচনা করা হয়, তাকেই ব্যাবহারিক জ্যামিতি বলা হয়।
(ii) ঔপপত্তিক জ্যামিতি
বিভিন্ন পরিমাপ বিষয়ক সূত্র কিংবা সত্যকে জ্যামিতির যে বিভাগে অংকন, আলোচনাসহ প্রমাণ করা হয়, তাকেই ঔপপত্তিক জ্যমিতি বলা হয়।
জ্যামিতির প্রয়োজনীয়তা
1. জ্যামিতি পাঠ করলে যে কোন বস্তুর আকার, আয়তন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা লাভ করা যায়।
2. কোন বস্তুর দ্বারা দখলিকৃত স্থানের আয়তন পরিমাপ করা যায়।
3. ভূমি বা জমির পরিমাপ (জরিপ) করা যায়।
4. কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে- তার যুক্তি, ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
5. সুদক্ষ কারিগর, দক্ষ শিল্পী হতে হলে জ্যামিতির সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে।
6. যে কোন পেশায় নিযুক্ত মানুষের যে কোন পরিমাপের জন্য জ্যামিতি শাস্ত্রের সম্যক জ্ঞান প্রয়োজন।
7. পরিবেশেষে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বাঁচা বাড়ার প্রতিটি মুহূর্তে জ্যামিতি শাস্ত্রের ভূমিকা অপরিসীম।
আরো পড়ুন -
1. জ্যামিতির ইতিহাস